সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪২ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মার্কিন পতাকা নামিয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে উড়লো ফিলিস্তিনি পতাকা! বিএনপি সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের বিষয়টি আদালতেই সুরাহার চেষ্টা করব, হাইকোর্টের নির্দেশনা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী গাজার ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা করতে সৌদিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশের সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড চুয়াডাঙ্গায় দেশ থেকে আইনের শাসন উধাও হয়ে গেছে : মির্জা ফখরুল স্বর্ণের দাম ভরিতে কমলো ১১৫৫ টাকা তীব্র তাপপ্রবাহ : স্কুল-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখতে নির্দেশ হাইকোর্টের মঙ্গলবারও ঢাকাসহ ২৭ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলে টর্নেডোর আঘাতে নিহত ৫
২০১৯-২০ অর্থবছরের নির্ধারিত প্রকল্প : নানা জটিলতায় ৬০ উন্নয়ন প্রকল্প

২০১৯-২০ অর্থবছরের নির্ধারিত প্রকল্প : নানা জটিলতায় ৬০ উন্নয়ন প্রকল্প

স্বদেশ ডেস্ক: নানা জটিলতায় নির্ধারিত সময়ে ৬০টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ হচ্ছে না। জমি অধিগ্রহণে জটিলতা, কয়েকটি প্রকল্পের বিরুদ্ধে মামলা এবং বৈদেশিক ঋণ ও সরকারি তহবিলের অর্থ সমন্বয় করে অর্থছাড়ে বিলম্বে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে না। এ কারণে প্রকল্প সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করার যে লক্ষ্যমাত্রা অর্থবছরের শুরুতে নির্ধারণ করা হয়েছিল তা পূরণ হচ্ছে না।
জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে (২০১৯-২০) ৩৫৫টি প্রকল্পের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো জানিয়েছে ২৯৬টি প্রকল্পের কাজ তারা নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে পারবে। তবে ৬০টি প্রকল্পের কাজ তাদের পক্ষে নির্ধারিত সময়ে শেষ করা সম্ভব হবে না। ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত তিন দিনের অগ্রগতি পর্যালোচনা সিরিজ বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিকল্পনা সচিব মো. নূরুল আমিন বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে বলেন, আমরা এর আগে সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে নির্দিষ্ট মেয়াদে উন্নয়ন প্রকল্প শেষ করতে বিশেষ তাগাদা দিয়েছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৬০টির মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, এর অন্যতম কারণ জমি অধিগ্রহণের জটিলতা। এ ছাড়া কোনো কোনো প্রকল্পের নামে মামলা চলছে। একই সঙ্গে বৈদেশিক ঋণ ও সরকারি তহবিলের অর্থের মধ্যে সমন্বয় করে জরুরি অর্থছাড় করা অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হয়নি। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ঠিকাদারদের গাফিলতি, অধিক মনিটরিংয়ের অভাবসহ নানা কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন বিলম্বিত হয়। এ ছাড়া বাস্তব কারণেও প্রকল্প শেষ করার ক্ষেত্রে শতভাগ লক্ষ্যপূরণ হয় না। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ না করার প্রবণতা পরিকল্পনা শৃঙ্খলার পরিপন্থী বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, নির্ধারিত সময়ে উন্নয়ন প্রকল্প শেষ না হলে এর সুফল থেকে জাতি যেমন বঞ্চিত হবে, তেমনি প্রকল্পের উদ্দেশ্যও ব্যাহত হবে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (আরএডিপি) তৈরির জন্য পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগ ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বর সমাপ্ত প্রকল্পের বিষয়ে বৈঠক করে। এতে সভাপতিত্ব করেন বিভাগের প্রধান মো. খলিলুর রহমান। বৈঠকে ৩৫৫টি প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। এরপর বিভিন্নভাবে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
চলতি অর্থবছরে বাস্তবায়নের জন্য নির্ধারিত প্রকল্প তালিকা বুধবার চূড়ান্ত করা হয়েছে। বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব আবুল মনসুর মো. ফয়েজ উল্লাহ বলেন, নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শেষ না হওয়াটা অবশ্যই পরিকল্পনা শৃঙ্খলার পরিপন্থী। কারণ একটি প্রকল্প শেষ না হলে এর ব্যয়ও বেড়ে যায়। প্রকল্পটি থেকে জনগণও কোনো সুবিধা পায় না। অনেক ক্ষেত্রে এটি আর্থিক শৃঙ্খলারও পরিপন্থী। কার্যক্রম বিভাগের প্রধান মো. খলিলুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, যথাসময়ে প্রকল্প শেষ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, প্রকল্প দীর্ঘদিন পর বাস্তবায়ন হলে এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব হারিয়ে যেতে পারে। এ জন্য পরিকল্পনা কমিশন সব সময় নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে উৎসাহ দিচ্ছে। এ জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দও নিশ্চিত করা হচ্ছে।
চলতি অর্থবছরে শেষ না হওয়া প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকল্প (২০১৬ সাল থেকে চলমান), নাঙ্গলকোট পৌরসভার অবকাঠামো উন্নয়ন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উন্মুক্ত স্থানসমূহের আধুনিকায়ন, উন্নয়ন ও সবুজায়ন প্রকল্প, পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার ভাঙ্গুড়া-নওগাঁ ডিসিএম সড়ক উন্নয়ন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ ২৫টি (সংশোধিত ৪৬টি) উপজেলা সদর/স্থানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন স্থাপন, খুলনা জেলা কারাগার নির্মাণ, ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগার সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণ, কারা প্রশিক্ষণ একাডেমি, রাজশাহী কারাগার নির্মাণ, ঢাকার মতিঝিল সরকারি কলোনিতে (হাসপাতাল জোন কম্পাউন্ড) বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ এবং শ্যামগঞ্জ-জারিয়া-বিরিশিরি-দুর্গাপুর জেলা মহাসড়ককে জাতীয় মহাসড়ক মানে উন্নয়ন প্রকল্প। তবে চূড়ান্ত পর্যালোচনায় চলতি অর্থবছরে কয়েকটি প্রকল্পের কাজ শেষ হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু নির্মাণ, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভূলতায় চার লেনবিশিষ্ট ফ্লাইওভার নির্মাণ, ইজতেমা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ, ঢাকা-বিমানবন্দর মহাসড়ককে শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের কাছে পথচারী আন্ডারপাস নির্মাণ, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী ইন্টার সেকশন থেকে মাওয়া পর্যন্ত এবং পাচ্চর ভাঙা অংশ ধীরগতির যানবাহনের জন্য পৃথক লেনসহ চার লেনে উন্নয়ন প্রকল্পের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্তকরণ, চারশ’ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণ এবং ভেড়ামারা-বহরমপুর দ্বিতীয় ৪০০ কেভি ডাবল সার্কিট সঞ্চালন (বাংলাদেশ অংশ) নির্মাণ প্রকল্প।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877